ইভানঃ কি খবর দোস্ত? কেমন আছিস?? অনেকদিন পর দেখা হল! এবার তোর একটা ইন্টারভিউও নিয়ে নেয়া যাক, কি বলিস?
সুমনঃ দোস্ত, এইগুলা তুই তো লিখবি, এখন তোর মুখে এভাবে শুনে আমার খুব ফরমাল লাগতেছে, So Let’s Not Make It Formal!
বেটার হচ্ছে আমি কেমন আছি, হ্যা ভাল আছি বলেই তো তোদের সাথে কথা বলতে পারছি! ভালো না থাকলে তো কথা বলতে পারতাম না!
ইভানঃ আমার মনে হয় এটাই সবচে ভাল রেস্পন্স হয়েছে! হাহা!
যাই হোক, নিশ্চয়ই অনেক ইন্টারভিউ দিয়েছিস? ন’ডরাই, দামালের পর সেটা আরো অনেক বেড়ে গিয়েছে? কিন্তু বন্ধুর প্রশ্নে বন্ধুর উত্তর, বন্ধুর ওয়েবসাইটের জন্যে… এটাই কি এমন প্রথম ইন্টারভিউ?
সুমনঃ হ্যা, TRUE, বন্ধুর প্রশ্ন, বন্ধুর ওয়েবসাইটে, এরকম এটাই প্রথম! এর আগে যে কটা দেয়া হয়েছে, সেগুলো কোন না কোন ম্যাগাজিন, বা ওয়েব পোর্টাল, বা কোন না কোন নিউজপেপার তারা কেউই আমার ওরকম পরিচিত না, মানে কাজের থ্রুতেই তাদের সাথে পরিচয় কিন্তু কেউই আসলে তোদের মত বন্ধু না!
ইভানঃ আমি আসলে অনেক কিছুই জানি, সবকিছু তোর কাছ থেকেই শোনা না হলেও আমরা আসলে জেনেই যাই! তো আমি বেসিক্যালি সব কিছুই জানি, তাই যে প্রশ্নগুলি আমি করব হয়তো আমার জানা, তবুও হররোজের অডিয়েন্সদের জন্য করা যাক! ফরমাল-ইনফরমাল কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করি, এই তো! কাজের কথায় আসি। সামনে কি কি কাজ চলছে? ব্যস্ততা কেমন? কি কাজ করার ইচ্ছে খুব? এখনো করা হয়নি?
সুমনঃ রিসেন্টলি একটা সিনেমার কাজ শেষ করছি সপ্তাহ খানেক আগে! সেটার নাম এখনো ওয়ার্কিং টাইটেলে আছে, নেত্রকোণা শ্যুট করেছি। এখনো দুইদিনের শ্যুট বাকী আছে। আর নেক্সট মান্থে মিড ফেব্রুয়ারী থেকে আর একটা ফিল্ম শুট করতে যাচ্ছি, এটা আমার জন্য মোটামুটি একটা চ্যালেঞ্জিং প্রোজেক্ট, মানে বাংলাদেশে যেটা হয়ে দাঁড়াইছে, যেটা খুব চ্যালেঞ্জিং মানে যে সব জিনিস কখনো হয় নাই বা খুব রেয়ার হয়েছে, এরকম ফিল্ম বা কন্টেন্ট বা গল্প আমার কাছে আসে! সেটা নডরাই থেকেই শুরু হয়েছে! যেমন সার্ফিং, এর আগে কখনো বাংলাদেশে সার্ফিং শুট হয়নি! সো আমাকে লিটারেলি যখন শুট করতে হয়েছে, সাগরে ভাসতে শুট করতে হয়েছে! আমার জন্য এটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স। কেউই তো এই প্লটে কাজ করে নাই বা এই ভাবে শুটও করে নাই। সাগরে ভাসতে ভাসতে শুট করছি। তো এর পরে এমনটা হয়েছে! হাওয়া হয়েছে, সেটা তিন-সাড়ে তিন বছর পর! দামাল আসছে, ফুটবলের ছবি, স্পোর্টস, এখন ফুটবলের ছবি এর আগে বারো বছর আগে একজন ডিরেক্টর বানিয়েছিলেন, জাগো নামে, ওই একটাই হয়েছিল, কিন্তু বারো বছর আগের, ওইটা মোটেও আপ টু দা মার্ক না! তিনিও এক্সপেরিমেন্ট করেছেন, মানে স্পোর্টস শুট করার যে গিয়ারস তার দরকার, যে ইকুইপমেন্টস দরকার, যে এক্সেসরিজ দরকার, সেই এনভাইরমেন্ট বাংলাদেশে এখনো কম্পারিটিভলি তৈরিই হয়নি, ওই মার্কেটটাই তো নাই!
যেমন তামিল বা তেলেগু বা কার্ণাটাক যেভাবে ইভোল্ভ করেছে, আগে তো শুধু টেকনোলজি ছিলো, স্টোরি ছিলো না। আগে যেমন দেখতাম যে উড়ে উড়ে যাচ্ছে, বাজে স্টোরি। আমরা বেশি ধারে ঘেঁষতাম না। কিন্তু এখন যেভাবে স্টোরি আর টেক মার্জ করেছে, এখন বলিউড কেউ চায় না। এজন্যেই কান্তার মতো মুভি অস্কারে যায়। এমনকি রিসেন্টলি, গুজরাটি একটা মুভি, ফিল্ম শো’, প্যারাদিসো কেউ দেখেছিস কিনা, একটা সিনেমা হলের কাহিনী, একটা পিচ্চি ছেলে প্লাস্টিক দিয়ে সিনেমা হল বানায়, সিনেমা দেখাচ্ছে। এরকম লোকাল স্টোরি এখন হিরো হচ্ছে!
বাংলাদেশে আমাদের আসলে এই প্রাক্টিস গড়ে ওঠে নি, আমাদের তেমন টেকনলজি ছিলো না। আগেকার একশান মুভিতে কেমন একশান ছিলো? খুবই রাবিশ, দেখলেই বুঝা যায়। ঐ জায়গা থেকে অনেক ইভলভ হয়েছে, ইয়াং এন্ড এডুকেটেড মেকার এড হয়েছে। এফডিসির বাইরে আলাদা একটা অল্টারনেটিভ জার্নি শুরু হয়েছে। বেশ আগেই আমাদের সিনিয়ার ভাইয়েরা শুরু করেছে। …
আমাদের বাজেট কম, TRUE… যে গল্পের জন্যে যে বাজেট দরকার, যদি একজাম্পল দেই, …হাওয়া বা দামাল… বানাতে যে ধরণের বাজেট দরকার,… একটা হচ্ছে ঠিকঠাক বানানো। একটা প্রডাক্ট তুই ২ টাকা দিয়েও বানাতে পারিস, আবার ১০ টাকা দিয়েও বানাতে পারিস। এখন দুই টাকার কুয়ালিটি আর ১০ টাকার কুয়ালিটি কখনো এক হবেনা।
এই রসদ যদি কেউ এলাউ করে তখন ভালো হয়, কিন্তু বেশির ভাগ সময় আমরা পারিনা। ওলয়েজ একটা কম্প্রমাইজের ভিতর যেতে হয়, ৫ টাকা, ৬ টাকায় করে দাও, ১০ টাকার বাজেট হলেও। এই বেগিং পার্টটা অলোয়েজ চারপাশে হতেই থাকে। বিজ্ঞাপণ ইণ্ড্রাস্ট্রির কথা বলছিনা এখানে, সিনেমার কথাই বলছি।
যে প্রজেক্ট গুলা আসছে আমার কাছে, সামনে যে রেফারেন্স টাইপের আদর্শ মুভি থাকে আমার কাছে, যে রেফারেন্স থাকে, এইগুলাতে আসলে ঐটা নাই।
ইভানঃ তার মানে আগের মুভি গুলা যেখানে ব্যর্থ হয়েছে ঐটা দেখেই তোমাদের শিখতে হয়েছে।
সুমনঃ এক্সাক্টলি! নেক্সট মান্থে যেটা করতে যাচ্ছি, গল্পটা হচ্ছে একটা সুড়ংগ নিয়ে। রিয়েল স্টোরি বেইজড। একজন কিশোরগঞ্জের একটা সরকারি ব্যাংকের ৭০০/৮০০ মিটার আগে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে তার ফ্লোর থেকে সুড়ংগ খোড়া শুরু করে। ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১৬-১৮ কোটি টাকা চুরি করে সে। আমাকে এর ভিতরে শ্যুট করতে হবে। আমি নিউজে রিয়েল সুড়ংগ টা দেখলাম। আমার চ্যালেঞ্জ ভারি ক্যামেরা হাতে নিয়ে মুভ করতে করতে শ্যুট করা। আমার কাছে এরকম চ্যালেঞ্জিং স্ক্রিপ্টই আসছে। একধরণের চাপ আছে, চাপ শেষে একটা গুড ফিলিং ও আছে। রিসেন্ট কাজ এটাই।
ইভানঃ পরিচালনার ইচ্ছা আছে কিনা…?
সুমনঃ আমার ঘটনা যেরকম, আমার মনে হয় শেষ-মেশ জায়গাটা এমনই হবে। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর শ্যুটিং হলে, বা ট্যুরে গেলে, পহেলা বৈশাখ , আসলে আমার ডিপার্ট্মেন্ট যিনি হেড ছিলেন ,রায়হান স্যার আমার তোলা ছবি অসম্ভব পছন্দ করতেন, তাই আমি না চাইতেই আমার ডাক আসতো।
ইভানঃ এভাবেই শুরু তাহলে?
সুমনঃ তখনো তো জানিনা এটাই আমার জায়গা হবে। ভার্সিটিতে ফিল্ম ক্লাব হয়েছে, থিয়েটার করা হয়েছে। … ঐ রকম সিচুয়েশন এ বাসায় পুশ করতে থাকি আমার ক্যারিয়ার চেঞ্জ করতে চাই। সুপ্ত ও ছিলো, ও এখন কারাগার, গুটির মিউজিক করে। খুবই ভাল মিউজিক করছে। আমাদের দুজনের বাসনাই ছিলো ভাল ফিল্মমেকার হবো।
আমি ফিল্মমেকার হিসেবে কাজ ও করেছি, চার নাম্বার এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (AD) হিসেবে কাজ করতে করতে চীফ এডিও হয়েছি কিন্তু একটা ঠিকঠাক ফিল্ম না বানালে তো ডিরেক্টর বলাই যাবে না।
বারাকা দেখেছিস কিনা জানিনা। এটা দেখার পর আমার চিন্তা-ভাবনায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বারাকা, সামসারা দেখার পর আমার যে প্যাশান ছিলো, তা এখন প্রফেশন হয়ে গেছে। আমি বুঝেছি ক্যামেরা দিয়েও স্টোরি টেলিং সম্ভব। বাইরের সব বড় বড় ডিওপি আসলে বড় স্টোরি টেলার।
আমি সেটে সবার কার কি কাজ দেখতাম। সব দেখার পর ফাইনাল কাজটা আসলে কে করে? উদাহরণ দেই… শ্মশানে পোড়ায় না? শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান, আগুনে পোড়ায় কিরকম সব ফর্মালিটি শেষ হবার পর, মন্ত্র পাঠ শেষ হলে একদম শেষে একজন মুখাগ্নি করে। ফিল্ম মেকিং এর এনালজিতেও এই লাস্টের কাজটা করে ডিওপি। সব ডিপার্টমেন্টের কাজ শেষ হয়, রিহার্সেল, মেকাপ, গেটাপ, কস্টিউম, আর্ট ডিরেকশান, লাইটিং, ক্যারেক্টার ব্লকিং, ডিরেক্টর ব্রিফ, সবকিছু হয়ে গেলে এখন মুখাগ্নির টাইম, আমার রোল শুরু। ডিওপি আমার কাজ।
ইভানঃ এটাই কি প্রি-প্রোডাকশান?
সুমনঃ না-না, ঐটা দোস্ত, প্রি-প্রোডাকশান হল পূর্বপ্রস্তুতি। ধর… গতকাল সুড়ংগের ভিতরে শ্যুটিং, তার রিসার্চ করতে হয়, কিভাবে সিকিউরিটি থাকবে, কিভাবে নিশো ভাই (সিনেমার এক্টর) ওর ভিতরে মুভ করবে এগুলা সব ই প্রি-প্রডাকশান। কিন্তু শ্যুটের দিন হল “অনসেট” প্রিপারেশান।… ঐ সিনের কন্টিনিউটি, ড্রেস কন্টিনিউটি, আবার এক্সপ্রেশন এর কন্টিনিউটি মেইন্টেইন করতে হয়, যে রেঞ্জ এ কথা বলছি… যদি কিনা ঐ সিনে টোনালিটির রেঞ্জ মেইন্টেইন করতে হয় শ্যুটীং এর প্রয়োজনে। … একটা সময় ছিলো এনালগ যুগে শুধু DOP দেখতে পারতো কি হবে আর সবাই তার কথা বিশ্বাস করতো,… ক্যামেরা ছুঁতেই পারতো না!
ইভানঃ পরিচালনায় ফিরবি?
সুমনঃ (একটু থেমে)আমার আসলে ইচ্ছা আছে, সময়টা হোক, এখনো শেখার আছে, আরেকটু শিখি, আরেকটু ম্যাচিউরড হই। তারপর হয়তো। সময়ের একটা ব্যাপার আছে। আমি বিশ্বাস করি সবকিছুর প্রপার টাইমিং আছে। প্রত্যেকটা জিনিস এর ই একটা সময় আছে। …বসন্তে ফুল ফোটে, অন্য সময় ফুটলে আসলে এত ভালো লাগতো না, সেই তাপর্য টা থাকে না। তাই ঐটার প্রেশার নেই না।… আচ্ছা নেক্সট প্রশ্ন!?
ইভানঃ ফয়সাল কিছু বলবি? কথাই বলছিস না!
সুমনঃ ও মে বি চোখ বন্ধ করে শুনছে!
ফয়সালঃ অবস্থা সে রকমই! আমার প্রশ্ন হলো বাইরে কার কার কাজ ভালো লাগে? ডিওপির কথা জিজ্ঞেস করবো… পছন্দের কেউ আছে কিনা?
সুমনঃ হ্যা পছন্দের ডিওপি আছে। বিদেশের গুলাই বলি আগে। বারাকা আর সামসারার যিনি ডিওপি, উনিই ডিরেক্টর, রন ফ্রিকি। মনে কর যে এটা আমাকে আরো বেশি স্ট্রেংথ দিয়েছে যে ডিওপি হলেও ফিল্ম তৈরি করা যায়। আর আছে ইমানুয়েল লুবোস্কি , ডাক নাম চিবো। মেক্সিকান। ইনারিতোর সাথে কাজ করেছেন। তারপর আছে রজার ডিকিন্স, রীতিমত লিজেন্ড বলা যায় তাকে। ৭৯ বছর বয়সে ১৯১৭ মুভি টা করা, অলমোস্ট টেকনিকাল কাট আছে এক-দুইটা।
এক টেকের একটা মুভি, কন্টিনিউয়াস রোল ছিলো। ওয়ার ফিল্ম তো, এক জায়গায় না। এক শহর থেকে আরেক শহরেও যাওয়া আছে। কিভাবে শ্যুট করেছে এটা একটা ইতিহাস। ৭৯ বছরের বুড়া। আমরা আসলে ভাবি এদের যে এনার্জি, বাট এরাই আসল ডিওপি… ক্যামেরা অপারেট করে না। বাইরে ক্যামেরা অপারেটর আলাদা পজিশন থাকে, ক্যামেরা ধরার জন্যে, ডিওপি থেকে ইন্সট্রাকশান নেয়।
দেশে আমরাই ক্যামেরা ঘাড়ে তুলে নিসি, আলাদা করে ক্যামেরা ওপারেটর এর টাকা দিবে এমন অবস্থা থাকে না। আমাদের এক্সারসাইজ করতে হয়, এক একটা ক্যামেরার ওয়েট ১৮-২০ কেজি সাথে আরো অনেক এক্সেসরিজ থাকে। আরেকটার ওজন ২৭ কেজি।
ফয়সালঃ আস্ত খাসি ক্যারি করা পুরা!
সুমনঃ বলা যায় আস্ত খাসি ক্যারি করার মতো। এগুলা রেগুলার করলে, এক্সারসাইজ করতে হয় ঠিক থাকার জন্য। এর জন্য আলাদা ক্যামেরাপার্সন লাগে! কিন্তু দেশে আমাদের ইনভলভমেন্ট বোথ। একই সাথে আমাদের একটা ক্রিয়েটিভ পার্ট আছে। ক্যামেরা, লাইট টা চালানো ফিজিক্যাল পার্ট, শর্ট মেলানো এটা মাথার কাজ, এটার প্ল্যান আগে থেকে করতে হয়। ক্রিয়েটিভ পার্ট টা- এই যে,… না এই শট টা আমি নেবো/ স্ক্রিপ্টে মাত্র ৩/৪ লাইন লেখা আছে, অথচ এই শ্যুটটা আমাকে করতে হবে।
ধর, রেফারেন্স হিসেবে বলি,…রিসেন্ট লি দেখা মুভির নাম বল।
ফয়সালঃ রিসেন্টলি তো হাওয়াই দেখেছি!
সুমনঃ ওকে ফাইন! হাওয়ার যে শট ছিলো,… লাফ দিয়ে চলে যেতে থাকে, ডাকতে থাকে, উরকেজ পারকেজ নাম। শট-টা কি করেছে,… বোটের ভিতরে লাফ দেয়, ওর পিছনে ক্যামেরা, দেন কাট টু ফ্রন্টে চলে আসে। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বোট-টা থাকে। স্ক্রীপ্টে দুই লাইনের কথা থাকে, উরকেজ চলে যায়, পারকেজ পিছে পিছে ডাকতে থাকে। এখন এই লেখা জিনিসটা কিভাবে ক্যামেরা দিয়ে আনতে হবে, কিভাবে আনলে মিনিংফুল/ইম্প্যাক্টফুল হবে, এটাই আসলে ডিওপির ক্রিয়েটিভ স্ট্রেংথ। তোরা ১৯১৭ দেখিস, দেখলে বুঝবি রজার ডিকিন্স এর ক্রিয়েটিভিটি আসলে কোন লেভেলের! সেটা আসলে উপলব্ধি করাই যায়। এই সিনেমার জন্যে একটা ক্যামেরাই ইনভেন্ট করেছে। ARRI সম্পূর্ন নতুন একটা সিরিজই বিল্ট করে নিসে। ওয়ার্ল্ডের মোস্ট এক্সপেন্সিভ ক্যামেরা। আমরা এরিয়ালেক্সা মিনি ইউজ করি। … আরেকজন আছে হোয়াইতে… ভ্যান হোয়াইতেমা। ক্রিস্টোফার নোলানের যত কাজ, সবই ওনার করা। আরেকজন আছে, টার্কিশ গোখান টেরিইকি। আবার কিছু আছে কম বাজেটের কাজ। বাট স্টোরি আছে। গোখানের কাজ ভাল্লাগে। ও ইয়াং আরেকজন আছে তার কাজ আমার খুব ভাল্লাগে। উনার নাম ব্রাডফোর্ড ইয়াং। বয়সেও ইয়াং। বয়স খুব বেশি না। বাকীরা সব বয়স্ক। দাদু বা বাপ দাদা লেভেল এর। বাট ইয়াংদের ভিতরে ইয়াং এর কাজ ভালো লাগে। খুব ইন্সপায়ারিং!
ইভানঃ উনার কোন কাজ ভালো লেগেছে?
সুমনঃ হ্যা উনার কাজের মধ্যে এরাইভাল। এরাইভাল দেখসস কিনা জানিনা।
আমরা দুজনেইঃ নীরব…
ফয়সালঃ আর বাংলাদেশে…?
সুমনঃ আর বাংলাদেশে তো বেসিক্যালি… আমি বলবো যে… দুইজন, সত্যকথা, মোস্টলি দুইজনের কাজ দেখে মনে হয়েছে যে আমাদের স্কোপ আছে… ইন্সপায়ার করেছে। রাশেদ জামান আর কামরুল ইসলাম খসরু। রাশেদ ভাইকে মানুষ চেনে বিজ্ঞাপনের জন্যে, অমিতাভ ভাই এর সাথে অনেক ভালো ভালো বিজ্ঞাপন করেছেন। বিজ্ঞাপনের ভিজ্যুয়াল এখন যে চেঞ্জ, এটা ওনারাই করেছেন। রাশেদ ভাই… ব্যাক ইন ২০০২ -২০০৩, নাহলে আগে যে বিজ্ঞাপনগুলা হইতো…সব হচ্ছে ঐযেঃ… “এক সাবানে কাপড় কাচা এক সাবানে গোসল” টাইপ!
ইভান ও ফয়সালঃ (অট্টহাসি)
এই যে কেয়া কস্মেটিক্স বা এইসব রাবিশ এ ভর্তি ছিলো টিভি, ছোটবেলা কেটেছে এই সব বিজ্ঞাপনে। কিন্তু স্টোরিটেলিং এর জায়গা থেকে গ্রামীণফোনের যে,… কই রইলা রে… এই রকম ভিজ্যুয়েল বেইজড বিজ্ঞাপন, এটা ওনারাই শুরু করেছেন। এরপর আমরা ফলো করেছি…ওনার লিগেসি ক্যারি করেছি ব্যাসিকালি। খসরু ভাই যেমন মনপুরা করেছেন। মনপুরাতো তো …ঐসময় আমাদের থাকেনা…গানগুলা এখনো ভাসে… ঐযে চঞ্চল ভাই…
রাশেদ ভাই আয়নাবাজি করলেন! এই কাজগুলা আমরা যখন ছোট ছিলাম, শিখছি, ১২/১৩ বছর আগে দেশের ভিতরে এইসব কাজগুলাই আমাদের স্ট্রাইক করতো!
সুমনঃ নেক্সট?!
ফয়সালঃ এই প্রশ্ন টা আগেই নিয়ে আসি, যেহেতু তোর অভিনয়ের কথা উঠেছে। আমরা জানি যে গ্রামীণ ফোনের এড এ কাজ করেছিস। তো অভিনয়ে কি আর আসা হলো না? আমার কিন্তু ঐ এড টা খুবই ভালো লাগে। অনেক বছর পরে দেখি এখনো।
সুমনঃ হুম হুম… সো যেটা হয়েছে কি… আমি ভার্সিটি থাকতে অভিনয় করেছি। থিয়েটার করেছি যেহেতু ভার্সিটির…
ইভানঃ গান ও তো করেছিস।
সুমনঃ হ্যা গানবাজনা করেছি। এখন জিনিস টা হয়েছে, মানুষের লাইফের এক একটা ফেইজ থাকে! ভার্সিটি লাইফের যে সুমন ছিলো আর এখনকার সুমনের ভেতরে অনেক তফাৎ।
ইভানঃ আমি তো পাইনা!
সুমনঃ একধরণের…না না… আমি মানি, ইন্সাইট…মেণ্টাল ওরিয়েন্টেশান… না, চেঞ্জ হয়েছে। ইভেন আমি স্টেজে নাচতাম ভার্সিটিতে! গ্রুপ ডান্সও করতাম।
ইভানঃ আমি দেখসি! আমি দেখসি!
সুমনঃ এখন আমাকে কেউ ঠেলেও নাচাইতেও পারবে না। আমার বিয়ের অনুষ্ঠানেও আমাকে কেউ নাচাইতে পারে নাই, সবাই নাচতেসে, ঠেলতেসে কিন্তু বডি থেকে আসছে না। কেন আসছে না আমি জানি না। বাট একটা ঘটনা, ২০১০ এর ভার্সিটিতে যে ঘটনা… ঐ ঘটনাটা না দারুণভাবে স্ট্রাইক করেছে। অন্যভাবে চিন্তা করার জায়গা করে দিসে। ঐটা না ঘটলে আমার চিন্তার জায়গা টা হয়তো এরকম ই হইতো না, প্রফেশন এটা হয়তো বা হইতো না, হয়তো অন্যান্য ফ্রেন্ডের মতো পিএইচডি করতাম, হয়তো আমেরিকা, কানাডা, অথবা নরওয়ে, অথবা কোরিয়া চলে যাইতাম, ঐ সাব্জেক্টে আমি হয়তো সায়েন্টিস্ট হয়ে যাইতাম।
ইভানঃ আসলে আমরা সবাই তো তাই ই ভাবতাম তাইনা?
সুমনঃ হ্যা হ্যা, বাট, ঐ ঘটনার কারণে হয়তো আমার লাইফের ট্র্যাক বা ডিরেকশান চেঞ্জ হয়েছে।
ইভানঃ তুই ভাই মেন্টালি অনেক স্ট্রং। কাউকে বুঝতে দিতি না ভাবা যায় না।
সুমনঃ ঐ জায়গা থেকে আমার কাছে লেগেছে আমি যখন শুরু করলাম…কেনো আমি ক্যামেরার সামনে আসিনা। আমার স্কোপ ছিলো। তোরা যখন বিজ্ঞাপন টা দেখেছিস ২০১৪ তে। আট বছর আগে। ওইসময় যদি শুরু করতাম…তখনো কিন্তু এখন আমাদের সাথে কাজ করে সিয়াম… ক্যামেরার সামনে আসে নাই।
ইভানঃ তুই ভাই এখনো অনেক হ্যান্ডসাম!
ফয়সালঃ সবার ই ভাত মেরে দিতে পারতি!
সুমনঃ এখন যেটা হইলো যে, ঘটনা টা বলি আগে কিভাবে হইলো। আমি আর সুপ্ত অমিতাভ ভাই এর HALF STOP DOWN প্রডাকশানে কাজ করতাম। অমিতাভ ভাই ডাকলেন আমাদের একটা শর্টফিল্ম দেখে। রবির একটা FESTIVAL এ আমাদের একটা শর্টফিল্ম জমা দিয়েছিলাম। আমাদের-টা FIRST PRIZE পায়। জুরি বোর্ডে ছিলেন অমিতাভ ভাই। উনি জুরি বোর্ডে থেকেই শর্টফিল্ম দেখে উনি মনে করেছেন এই ছেলেগুলার ভেতরে আছে, তাই উনি আমাদেরকে উনার অফিসে দেখা করতে বলেন।
ফয়সালঃ একটু INTERFERE করি। ঐ শর্টফিল্ম টা কি এখন কোনভাবে দেখার স্কোপ আছে?
I’m Intrigued Because You Filmed It Without Any Training, Using Only Your Natural Talent And Intuition.
সুমনঃ এখন দেখার স্কোপ আছে কিনা? না, না ঐটা তো দোস্ত ২০১০ এর করা, আর তখন ইউটিউব ওভাবে ছিলো না। খুজে দেখতে হবে। ঐটা জমা দিসিলাম ক্যাসেট আকারে শুট করে। …
ওইসময় আয়নাবাজির স্ক্রিপ্ট এর কাজ দিয়েছিল। ২০১৬ তে বের হলেও, আমরা রিসার্চ করতাম সেই সময় থেকেই। বাইরে থেকে ভিতরে জেলের ব্যাপার স্যাপার গুলো। সাড়ে তিন থেকে চার মাস কাজ করতাম। ঐসময় আমরা এক সপ্তাহ কাজ করতাম আর রাশেদ জামান আর অমিতাভ ভাই এর কাছে আপডেট দিতাম। ঐ সময় আয়নাবাজির রিসার্চ নিয়ে এদের সাথে আমাদের মিটিং থাকতো উইকলি। আমরা নোট নিতাম।
তো এরকম এক শুক্রবারে আমার সামনে অমিতাভ ভাই আর আমার বাম পাশে রাশেদ ভাই আর ডান পাশে সুপ্ত। অমিতাভ ভাই এর চীফ এডি সামনে আমার ওভারহেড এসে বললেন গ্রামীণফোন এখনো মডেল ঠিক করে নাই।
ভাই কিছুক্ষণ সময় নিয়ে বললেন, এটা সুমন করবে।
-ভাই আমি করবো? আমি তো চাই না!
ভাই বললো চরিত্র টাই তোর, তোর সাথে যায়। কেনো করতে চাই না সেটা শুটিং এর আগেরদিন রাত্রিবেলা অমিতাভ ভাই কে এত্ত বড় একটা টেক্সট করলাম। তখন আমি মনে প্রাণে ডিওপি হইতে চাইছি।
এই ভুলটা অনেকেই করে, আমি যেটা হতে চাই,… এর মাঝে আমার সামনে একটা সুযোগ আসলো, আমি আমার হতে চাওয়াটাকে জলাঞ্জলি দিয়ে আইডেন্টিটি ক্লাশ করতে চাই না!
মানে আমি হতে চাই ডিওপি কিন্তু আমারে চিনবে এক্টর হিসেবে।… ঐ সময় আমার ডিওপি হিসেবে আইডেন্টিটি এস্টাবলিশড।
অমিতাভ ভাই বললেন, তুই এইটা কর, এটা তোর কোন ক্ষতি করবে না। বাট পরবর্তীতে যদি মনে হয়, মনে করিস, তোর ভিতরে আছে একটীং টা। আর করতে হবে না। উনি আমার চিন্তাটাকে রেস্পেক্ট করলেন, তুই ডিওপি হইতে চাস। তাইই করিস।
ইভানঃ উনি কখনো পুশ করেনি আর?
সুমনঃ না-না, উনি কখনো পুশ করেননি, উনি আমার প্যাশনের জায়গাটা বুঝতেন তবে অন্য জায়গা থেকে অফার আসে এখনো।
আরেকটা কারণ হলো আমার কাছে লাগসে দোস্ত, আমি যদি সব এক্টরদের মতো হইতাম তাহলে এতদিনে নাগালের বাইরে চলে যাইতাম, তো নাগালের ভিতরে থাকাই ভালো। আর একটা ব্যাপার ক্যামেরার সামনের জগত টা ফেইক। আর এক্টর এক্ট্রেসদের যে লাইফস্টাইল, চিন্তাভাবনা, যে প্রিটেন্ড করতে হয় সেটা আমার সাথে যায় না।
মনে কর তোর মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ, বা তোর ইচ্ছে করছে না এমন একটা লোকের যেমন মনে কর হাই র্যাংকিং অফিসার, পলিটীক্যাল ক্যারেক্টার এদের সাথে হেসে হেসে কথা বলতে হয়। তো ওদের অনেক বেশী প্রিটেন্ডিং লাইফ।
ইভানঃ ব্যাসিকালি তোরা যে স্টোরি টেলিং টা করতেসিস, ঐটাই ওদের লাইফ। তবে দুই একজন পারে নরমাল লাইফ মেইন্টেইন করতে।
সুমনঃ দুই একজন পারে, দুই একজন পারে। এখন ধর, সিয়াম-টিয়াম রাজ রাস্তায় বের হলে যে কি করে! লিটারেলি কামড়াকামড়ি করে, ঠেইল্যা টেইল্যা অস্থির!
আমি বরাবরি এমন একটা কাজ করতে চাইসি চুপচাপ চিন্তা করবো, এন্ড রেজাল্ট টা মানুষ দেখবে!
ফয়সালঃ তো তোর এই DOP ব্যাপার টা আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছে আছে কিনা?
সুমনঃ তুই বলতে চাচ্ছিস, লিগ্যাসি ক্রিয়েট করতে চাই কিনা?
ফয়সালঃ হ্যা হ্যা এক্সাক্টলি!
সুমনঃ এইটা এখন বলি, ইচ্ছে সবার ই থাকে, কিন্তু এখন যে কাজ এই সময় আসলে ইচ্ছা থাকলেও সময় করে উঠতে পারি না। কিন্তু কোন একটা জাগায় যাইতে হয়,যেই প্রিপারেশান টা দরকার। সেই প্রিপারেশান টার টাইম টা পাচ্ছি না। শুটীং এর আগে এজ এ হোল, কনভার্সেশন হয় সব ডিপার্মেন্ট এর সাথে ।
এর বাইরেও, এটার বাইরেও একটা স্টেপ আছে, যখন কেউ থাকে না। নিজের সাথে নিজের কথা বলা, চিন্তা করা, শট টা কেমন নিবো, থাকে না যে নিজে নিজে প্ল্যান করা, শট টা এমনে নিবো নাকি ওমনে নিবো? মাথার ভিতরে শট নেয়ার আগেই শুটিং চলে।
একা যখন ভাবিস তখন মাথায় আসে, বাসায় চাল নাই, এই মাসে এটা কেনা হয় নাই, ঐটা কিনতে হবে। বাসা ভাড়া দিতে হবে, সিলিণ্ডার শেষ, এইসব জাগতিক জিনিসগুলা, তীরের মত নানান দিক থেকে আসে, ফ্যামিলিতে একটা না একটা সমস্যা আছেই, এই যে বাইরে থেকে আসা এনার্জি, তখন ডিজওরিয়েন্টেড হয়ে যাই, এই সাজানো ভাঙ্গা এটা করতে করতে সিনেমা এক্সিকিউট করতে প্রপার টাইম লাগে এটা কম হয়ে যায়।
আমি এখন কেনো পারতেসিনা বলি আগে…আমরা নিজেরাও যে ভুক্তভুগী।
ধর, আমরা সবাই একসাথে গ্রাজুয়েশান করেছি। আমি তখন কোথায়? আমার বন্ধুরা নানান দেশে ছড়ায়ে গিয়েছে। ফ্রেন্ডদের সাথে হিউজ গ্যাপ হয়ে গেলো। আমি একজন শিক্ষানবীস আমার ফ্রেণ্ড রা ততদিনে মাস্টার্স।
আমাকে এই সময়ে শিক্ষানবিশ হিসেবে শুরু করে, আমাকে ২০ বছরের কাজ ১০ বছরে শিখতে হয়েছে। আসলে ২৮ ঘণ্টাও তো আমার জন্যে কাফি না। আমি যেটা চাইতেসি সেটা অনেকের কাছে প্রাইওরিটি মনে হয়েছে। কিন্তু আমি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইসি। ফিল্ম ইন্সটিউট এর কোর্স গুলা ব্যাসিক কোর্স, ফিল্ম এ যাইতে যা যা জানা দরকার, কিন্তু প্রো লেভেলে যেতে গেলে বই দিয়ে হোক, জার্নাল দিয়ে হোক, নিজের ক্ষুধা টা নিজেই মিটাতে হয়েছে। আমাকে ২০ বছরের কাজ ১০ বছরে করতে হয়েছে।
এটার পিছনে পুরা টাইম টা দিতে হবে মনে হয়েছে, আমি চাইসি, পরিশ্রম করেছি, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা ইম্পর্টেন্ট।
ইচ্ছা আছে যে ৮-১০ বছর পরে, আরো কয়েকজন ডিওপি চাইলে করতে চাই। এটা একা করা সম্ভব না।
ইভানঃ তোর একটা গুড নিউজ জনলাম এটা ডিজক্লোজ করা যাবে?
সুমনঃ অলরেডি প্রথম আলো তে আসছে আনঅফিসিয়াল টাই। এটা ২০২২ এর জন্যে ২০২৩ এর টা। ২০২১ এর টা ন ডরাই এর জন্যে। ২০২৩ এর টা লাল মোরগের ঝুটির জন্যে।
ইভানঃ বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নের কথা বল?
সুমনঃ আমরা সবাই স্ট্রাগল করা শিখেছি, সোসাইটি ফেইস করেছি, আমাদের যে সিস্টেম আছে চাকরীর সিস্টেম, ১০ জন দাড়িয়ে গেলে দেশের জন্যে করা হয়, দেশের এসেট হয়ে ওঠা হয়। ছোটবেলা ভাবতাম দেশের জন্যে কি করবো! কিন্তু এখন বুঝি সাকসেস্ফুল বিজনেসম্যান হয়ে উঠলে আসলে দেশের জন্যে আলাদা করে করার কিছু থাকে না। এখানেই তো সাকসেস। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠা, আলাদা করে করার কিছু থাকে না।
ইভানঃ বাইরে যারা তারা কিন্তু রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে…
সুমনঃ সেটাই, দেশের জন্যেই তো করার। আলাদা করে করার কিছু নেই।
সুমনঃ এইতো! আর কিছু আছে দোস্ত? আমি বলছিলাম আধাঘণ্টা আর দেখ দেড়ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে।
সুমনঃ আর কোনও প্রশ্ন আছে, খেয়াল করে দেখবি?… (হররোজ নিয়ে) এটা আসলে কি হিসেবে করতে চাস?
ইভানঃ ওয়েবপোর্টাল বেসিক্যালি!
সুমনঃ এটা কি টেক বা সাইন্স বেজড, কন্টেন্ট গুলা থাকবে সেগুলা আসলে কি বেজড? সব কন্টেন্ট থাকবে? নাকি ক্যাটাগরাইজড? নাকি ফিউচারে অন্য কোনোদিকে যাবে?
ফয়সালঃ শর্ট টার্ম প্ল্যানে টেক সায়েন্স বেজড, লং টার্ম প্ল্যানে আমাদের পাবলিক ফিডব্যাকের উপর ডিপেণ্ড করতে হবে?
ইভানঃ আসলে আমরা যেভাবে নেমেছিলাম, পরে দেখলাম পার্সেপ্সান একদমই আলাদা। সো অলয়্যেজ চেঞ্জের মধ্যে থাকতে হবে।
সুমনঃ EXACTLY! অলওয়েজ একটা চেঞ্জের মধ্যে থাকতে হবে, না হলে তাল মিলানো টা কষ্ট হবে আর কি!
(থ্যাংকিউ দোস্ত!)
অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা সুমন এর জন্য! জীবনে এগিয়ে যেতে ফোর্স লাগে! নিজেকেই নিজের স্বপ্ন পারসু করে যেতে হয়!