এত গরম! তাই সাবধান হই!

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বিগত ২০ বছরের সবচে’ আলোচিত সমস্যাগুলির একটি। অনেকে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবকে অস্বীকার করলেও প্রতিনিয়ত অস্থিতিশীল আবহাওয়া আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মানুষের অসহায়ত্ব! বিজ্ঞানীগন এ ব্যাপারে একমত যে বর্তমান বিশ্ব একটি কঠিন ক্রান্তিকালের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা, প্রতিনিয়ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙ্গা, বাতাসের গুনগত মানের পরিবর্তন, এসবই পৃথিবীকে বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত করে তুলছে।

সাইন্টিফিক আমেরিকানের ২০০৯ এর একটি নিবন্ধ মতে, প্রতিবছর ১.৫ লক্ষ্য মানুষ গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে মারা যায় এবং এ সংখ্যা ২০৩০ নাগাদ দ্বীগুন হবার আশংকা জানানো হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাপমাত্রার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির প্যাটার্ন থেকে গবেষকেরা দাবি করছেন যে শতাব্দীর শেষ নাগাদ গড় তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। এটা পূর্বে অকল্পনীয় ধারণা করা হলেও গত বছরের তুলনায় এবছর এই সময়েই তাপমাত্রা গড়ে ৭ ডিগ্রি বেশী, যা তাদের আশঙ্কাকে আরো শক্ত ভিত দিচ্ছে। বাতাসের তাপমাত্রা, আদ্রতা, মেঘ, বাতাসের গতি এবং ভুপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ তাপ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত হলে তা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে। এমন দিনগুলিকে এক্সট্রিম হিট ইভেন্ট বলে। ৪০ ডিগ্রির ওপরের তাপমাত্রাই বয়স্কদের জন্য অসহনীয় বিবেচিত হয়। এবার তাপমাত্রা বেশিরভাব শহরেই ৪০ ডিগ্রির ওপরে। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি মাপা হয় ১৫ই এপ্রিল।

এত গরমে হাপিয়ে ওঠা, হিট স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, এমনকি এলার্জির সমস্যা দেখা যায়। অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডা লাগা বাচ্চাদের মধ্যে খুব সাধারন ব্যাপার হয়ে উঠছে। প্রচুর ঘাম বেরিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, লো ব্লাড প্রেশার প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে শীতল স্থানে ফিরে যাওয়া এবং ঠান্ডা পানি বা এনার্জিবর্ধক ড্রিঙ্কস খেতে হবে। নিয়মিত শারীরিক সঞ্চালনের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। এবং সুযোগ হলেই বিরতি দিয়ে প্রচুর পানি গ্রহন করা উচিত।

আমার অন্য লেখা পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Reviews

Popular Articles