আমার পুরো নাম হচ্ছে এ,কে, এম মনোয়ারুল হুদা। ডাক নাম “সৈনিক”।
পৃথিবীতে আমার যত প্রিয় মানুষ আছে তাদের বেশিরভাগই ” সৈনিক” নামেই আমাকে চেনে, জানে, ডাকেও। আমিও এই নামটাই পছন্দ করি যদিও জীবনে অসংখ্যবার প্রমান করতে হয়েছে যে, এটা আসলে আমার কোন ছদ্মনাম নয়। আমার বাবার রাখা নাম “সৈনিক”।
আমার দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। যমুনা নদীর আশেপাশেই। আমার শৈশব, কৈশোর জুড়ে এই যমুনা নিয়মিত আপ্লুত করে গেছে আমাকে। তবে তারুণ্যের শুরুতে যমুনার পাশাপাশি একটা পদ্মপুকুর দারুন ভাবে প্লাবিত করতে শুরু করেছিলো আমাকে। আমি তখন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ক্যাম্পাসের মাঝখানের সেই পদ্মপুকুরের জল আমাকে ডাক দিয়ে যেত নিয়মিত!
আসলে আমার আছে তিনরকমের জল। যমুনার জল, কুয়েটের পদ্মপুকুরের জল আর আমার আপন জল। এতোসব জলে ভাসতে ভাসতেই আমি একটা বই লিখে ফেলেছি। বইয়ের নাম “অনেক রঙের জল”।
যদিও নিজেকে লেখক ভাবতে আমার দ্বিধা আছে।নিজেকে পাঠক বলতেই স্বস্তি পাই। পাঠক হয়েই থাকতে চাই।