মাত্র ৪ বছর! এই ৪ বছরে একটা মানুষের ডিটারমিনেসন কতটা পাল্টে দিতে পারে তার নিজের জীবনের সাথে সারা বিশ্বের শতকোটি ভক্তের জীবন!
এমি মার্টিনেজ, আর্জেন্টিনার ত্রাতা
হ্যাঁ, আজ যার কথা লিখতে যাচ্ছি সে আর কেউ নয়- “বুনো ষাড়” এমি; পুরোনাম এমানুয়েল মার্টিনেজ। প্রতিটি টিমে একজন পাগলাটে, ক্ষ্যাপাটে ব্যক্তির দরকার হয়। তেমনি আর্জেন্টিনা টিমের সব চাইতে ডেডিকেটেড পাগলা হইল এমি মার্টিনেজ! অথচ এই লোকটা ৪বছর আগেও দর্শক ছিল, খেলা দেখতে দেখতে নিজের ভাইকেই বলেছিল- “ দেখে নিও, আমি একদিন এই টিমের হয়ে বিশ্বকাপে খেলবো!”
আর্জেন্টিনা বরাবরই আনপ্রেডিকটাবল টিম। কখন কি করে ঠিক নাই। এই বিশ্বকাপেও তাদের ভক্তরা নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন হার্ট বিট মিস হতে হতে! কিন্ত দলে যে একজন পাগলা আছেন যিনি মেসির জন্মদিনে গিফটের ওয়াদা করেছিলেন- আমি তোমাকে বিশ্বকাপ এনে দিব, আমার পক্ষ থেকে এটাই হবে তোমার জন্মদিনের উপহার!”
এমি মার্টিনেজের উঠে আসার গল্প
এমি মার্টিনেজের চলার পথটা কিন্ত এতটা মশ্রিন ছিল না। ২০১২ সালে আর্সেনালে জয়েন করলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাকে যাযাবরের মতন বিভিন্ন ক্লাবে ধারে খেলতে হয়েছিল। তারপর ২০২০ সালে এস্টনভিলায় জয়েনের পরেই শুরু হয় উত্থান। এমনকি মাস্টারমাইন্ড স্কলানিরও পছন্দের না থাকা প্লেয়ারটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কোপা কাপে নিয়মিত গোলকিপার আরমানির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াতে। এরপর শুধু সামনে এগোনোর ইতিহাস! সেমিফাইনালে পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেওয়া মার্টিনেজ পাকাপোক্ত হয়ে যান আর্জেন্টাইন টিমে।
একটা ব্যাপার কেউ খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, আর্জেন্টিনা সব সময় খুব ভাইটাল মোমেন্টে একেবারে শেষ মুহুর্তে বরাবর গোল খায়! এই ফাইনালের রাতেও একেবারে এক্সট্রা টাইমের শেষ সময়ে কোমানের শট না ঠেকাতে পারলে কি হতো আর্জেন্টিনার ভাগ্যে!?
এমি তার কথা রেখেছে। মেসির জন্য জীবন দিতে চাওয়া মানুষটির তাই যত দোষ-ত্রুটি বা পাগলামি থাকুক না কেন সারা বিশ্বের শতকোটি ভক্তের জীবনের সবচাইতে আনন্দঘন মুহূর্ত ফিরিয়ে আনার অন্য তাকে ধন্যবাদ।
এমি মার্টিনেজ, একজন বিশ্বজয়ী
পুনশ্চঃ ফাইনালের রাতে বাপ্পি ভাই তার দ্বিতীয় গোল করে মেসিকে হাত দিয়ে কিছু একটা ইংগিত করার কারনে গোল্ডেন গ্লাভস পাওয়া এমি ওই অপকর্মটি সারা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছিল। এছাড়াও ম্যাচের আগে ল্যাতিন ফুটবলকে অবজ্ঞা এবং ইউরোপীয় ফুটবল সেরা এমন মন্তব্যের জন্যে ক্ষেপে ছিল আগে থেকেই।
টিপিক্যাল এমি! 😄