সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, লক্ষ্মীর বাহন প্যাঁচা, আবার ঋগ্বেদ অনুযায়ী, প্যাঁচা হল যমের দূত। তেমনই গ্রীক মাইথলজিতে পেঁচা হল এথেনার প্রতীক। বাস্তবে বার্ণ আউল বা গোলাঘরের হুতোম প্যাঁচা বেশ গা-ছমছমে একটা অনুভূতি এনে দেয়। জীবনে একবার প্যাঁচা দেখেননি এরকম বাঙালি কিন্তু নেহায়ত কম না!
প্যাঁচার এনাটমি!
চোখের গোলক সামনের দিকে থাকায়, এদের দৃষ্টি শক্তি ২৭০ ডিগ্রী পর্যন্ত যায়, ফলে ঘাড়ের উপর দিয়ে পিছনের দিকে দেখতে পারে। এদের শ্রবণশক্তিও খুব প্রখর। খোদার ইচ্ছায় প্যাঁচার মাথায় ফেসিয়াল ডিস্ক এর গড়ন এমনই যে একটু মাথা ঘুরালেই প্যাঁচা নীচুনাদের শব্দ যেমন ইদুরের শস্য চিবানোর আওয়াজও শুনতে পায়।
শব্দের এক্সপেরিমেন্ট!
সবচে মজার বিষয় হলো এরা বাতাসে উড়ার সময় কোনো রকম শব্দ করে না। এই বিষয়ে বিবিসি আর্থের করা একটি এক্সপেরিমেন্ট উল্লেখ করা যেতে পারে। বার্ণ আউল বা কমন হুতোম প্যাঁচার ওড়ার সাথে কবুতর আর বাজপাখির ওড়ার এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। তারা ওড়ার সময় যে সাউণ্ডয়েভ তৈরি করে তা রেকর্ড করা হয়। শুধু তাই নয় ফ্লোরে প্রচুর পালক ছিটিয়ে দিয়ে তার ডিস্টার্বেন্স ও মাপা হয়।
ভিডিও তে দেখা যায় যে কবুতর আর বাজের ডানা ঝাপটানোর কারণে ফ্লোরে রাখা পেখম উড়তে থাকে। যার ডানা যত বড় তার ফ্রিকোয়েন্সি ততো বড়।
কবুতরের ডানা ঝাপটানোর ফ্রিকোয়েন্সি ওড়ার সময়ে
বাজের ডানা ঝাপটানোর ফ্রিকোয়েন্সিও বাজখাই!
প্যাঁচার ফ্রিকোয়েন্সি পুরা ফ্লাইটে (ওড়ার সময়ে) ধরাই পড়ে নি যেন!
উড়ন্ত প্যাঁচা, যে আকাশে বা ভূমিতে উড়িবার ইতিহাস রাখতে পছন্দ করে না!
নীচের ছবি যারা খেয়াল করবেন দেখা যাবে প্যাঁচা পুরা ফ্লাইট টাইমে মাত্র দুই বার ডানা ঝাপ্টিয়েছে তাই নীচের পালক গুলি বলতে গেলে একচুল ও সরেনি! তলপেটের পালকের গড়ন আর ভেসে থেকে ওড়ার কারণেই এই স্টিলথ ওড়া প্যাঁচার।
পুরো ভিডিওটি দেখতেঃ
Why Fact 2 – সিরিজের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুনঃ কুকুরের পেটে চকলেট সয় না
Why Fact 3 – সিরিজের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ুনঃ পানির বয়স কিভাবে সূর্যের চেয়ে বেশি?