অন্তর্বাস

“ইনার সেলফ” দোকানে মেয়েটিকে দেখলাম। কি সুন্দর মেয়েটি, আহা! একবার তাকালেই প্রেমে পড়ে যাওয়া যায়।  আমি ভাবলাম কি করে মেয়েটাকে পটানো যায়?ট্রাডিশনাল পথের বাইরে গিয়ে ? দেখলাম কোন কিছু কিনছে সে । আগে একটু রাগিয়ে দিলে কেমন হয়? শুনলাম সেলস ম্যানকে বলছেন “ওগুলো প্যাকেট করে দিন”

আমি লাফিয়ে গিয়ে বললাম “না না, ওটা আমি পছন্দ করেছি। আমার জন্য প্যাকেট করুন” মেয়েটি আমার দিকে অবাক হয়ে বললেন “আপনি তো কেবলই আসলেন। আশ্চর্য!”
-কেবল আসা যাওয়া দিয়ে কোন কিছু বোঝায় না। ওটা আমি কাল থেকে পছন্দ করেছি…
-কি পছন্দ করেছেন?
-আপনি যেটা করেছেন…
-আমি কি পছন্দ করেছি?
-আমি যেটা করেছি
-আরে আমরা কি পছন্দ করেছি?
-একই জিনিস, যা প্যাকেট হচ্ছিলো…

তিনি হতাশ হয়ে মুখ সরিয়ে নিলেন। সেলস ম্যানেজার এসে চেষ্টা করলেন থামাতে। সুবিধা করতে না পেরে চলে গেলেন। সেলসম্যান বললেন”এই জিনিস গুলোর আর কোন কপি নেই। সুতরাং নিলাম হবে” আমি সগৌরবে বললাম “২০% বেশি” মেয়েটি বললো “৫০ ভাগ”
আমি নিজের গর্ব মাটিতে মিলতে দিলাম না। চেচিয়ে বললাম “জাস্ট ডাবল”।

আর কোন কথা হলোনা। একটু অনুশোচনা হলো। না জেনে একটা জিনিস ডাবল দাম দিয়ে কিনছি। জাস্ট মেয়েটাকে রাগাতে। রাগ অবশ্য ভালো। রাগ থেকে অনুরাগ। অনুরাগ থেকেই ভালোবাসা। অনুরাগের গলা শুনলাম। মেয়েটি বললেন -আপনি বিবাহিত?” আমি গলে তরল হয়ে গেলাম।“না এখনি হয়নি জানেন।কি দুর্ভাগ্য না? তবে চেষ্টা চলছে। হয়তো শীঘ্রই…” মেয়েটি মিষ্টি মিষ্টি হাসলো। অনুরাগ থেকে ভালোবাসায় নেমে গিয়েছে ? ভাবতে ভাবতেই দেখলাম তিনি বললেন “তাহলে মেয়েদের এতোগুলো অন্তর্বাস কিনে আপনি কি করবেন? নিজেই পরবেন?” থতমত খেলাম।নিজের বোকামীর জন্য রাগ হচ্ছিলো খুব। কিন্তু প্রেমের পরাজয় এতো দ্রুত হয় কি? বুদ্ধি করে তবু কিছু সম্ভবনা রেখে বললাম-
-আরে বিয়ে করিনি দেখে করবোনা না নাকি? আপনার মতোই হয়তো কাউকে করবো। একই রকম চেহেরা…লম্বা…একই রকম…
-থাক! থাক!আর না বলুন! কিন্তু একটা ব্যাপার জানেন কি?
-আর কি জানবো? আর কিই বা জানাবো? আপনি কি কিছুই বোঝেন না??
-মানে আমি বলছিলাম কি… ওসব আমার শ্বাশুড়ির জন্য কিনেছিলাম। ৬২ বছর বয়স।একটু বেশিই হেলদি। বাকী সব বাসায় গিয়েই বুঝবেন…আসি তাহলে……হ্যাপি শপিং…. বেশ কিছুক্ষন পর সম্বিত ফিরলো , যখন সেলসম্যান এসে বললেন, “স্যার দাম ছিলো ১৫ ডলার, ডাবল করলে …এখন আপনাকে দিতে হবে ৩০ ডলার…প্রোডাক্ট রেডি…” ।

একগাদা টাকা দিয়ে অস্বস্তিকর প্রোডাক্ট হাতে নিয়ে নীচে নামছি। কি করা যায় ভাবছি। বাসায় নিয়ে যাবার প্রশ্নই আসেনা। বাসায় মা আর ছোটভাই আছে। তারা এসব দেখলে কি না কি ভেবে বসে! কাউকে দিতে পারলে ভালো হয়। বাসায় নিয়ে যাওয়ার কোন কারন নেই। আর  কিন্তু এগুলোর সাইজ তো জানি না।গিফট কাউকে অফার করলেতো সাইজটাও মিলিয়ে নিতে হবে , তাইনা?!! ভাবলাম, আবার উঠতে শুরু করলাম। সেলস ম্যান এরই মাঝে চলে গেছেন। তার জায়গায় একটা তরুনী বসে আছে ।একে কি বলে? সেলস গার্ল?  আমি কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “কোন হেল্প লাগবে স্যার?” আমি বললাম, “মানে  অন্তর্বাসের সাইজ কত জানতে এসেছিলাম?” সে অনেকক্ষন তাকিয়ে থেকে উঠে গেলো।কিছুক্ষনের মাঝেই ম্যানেজার সাহেব হুঙ্কারের মতো করতে করতে আসলেন, বললেন, “কি সমস্যা আপনার? আপনি আমার কর্মীকে ইভ টিজিং করছেন? এর আগেও আপনি প্রোডাক্ট কিনতে এসে কোন এক ভদ্রমহিলাকে  জ্বালাতন করছিলেন?…এখন আপনি আমাদের কর্মচারীর  অন্তর্বাসের সাইজ জানতে চাছেন?” আমি বিরবির করে বললাম, “আধা ঘন্টা আগে এখান থেকে কিছু প্রোডাক্ট নিয়েছিলাম। আমি শুধু বলতে এসেছিলাম না মানে জানতে এসেছিলাম…মানে আমি যে প্রোডাক্ট গুলো কিনেছি তার সাইজ কেমন?” ম্যানেজার অবাক হয়ে বললেন, “আপনি কি প্রোডাক্ট কিনেছেন তার সাইজ আমি বলে দেবো?” আমি দেখলাম এদেরকে সম্পূর্ণ বোঝানো সম্ভব নয়। তাই নিজেই প্যাকেট খুলে ফেললাম। বড় বড় চোখে দেখলাম, ৩৮/ লার্জ। বাহিরেই চলে আসছিলাম। সেলসের মেয়েটা আবার সামনে পরে গেলো। আমি হাসি মুখে বললাম, “পেয়েছি বুঝলেন। ৩৮, লার্জ , ৩৮…” মেয়েটা মনে হয় এবার আরো রেগে গেলো, “আমাকে এমন ফ্যাট মনে হয়?এ্টা আপনি কি বললেন? আমি নিয়মিত জিম করি জানেন…” দোকানের ম্যানেজার উচ্চ স্বরে চেচামেচি করতে করতে আবার কাছে এলো …

আমি দ্রুত নিচে নেমে এলাম ।

৩৮/লার্জ রকমের কাউকে এগুলো গিফট করে দিলে কেমন হয়? কিন্তু কে যে এমন সাইজের কি করে বুঝবো? কাউকে জিজ্ঞেস করলে হয়? না এই রিস্কে যাবার কি দরকার। সিড়ি বেয়ে আবার দোকানটাই ঢুকে গেলাম।  উপরে উঠতেই সেলস ম্যানেজার চেচিয়ে উঠলেন, “আবার আপনি? এবার কি আপনি আমার সাইজ জানতে চাবেন?” আমি বললাম, “স্যার প্লিজ একটা কথা শুনুন। যে মহিলার সাথে আমার ঝামেলা হলো, আমি তার প্যাকেট নিয়ে নিয়েছি। উনার ঠিকানা জানা দরকার আমা্র”
-কেন আপনি তাকেও সাইজ জিজ্ঞেস করবেন নাকি?দেখেন উনি আমাদের খান্দানি কাষ্টমার…
-আমি আসলে প্রোডাক্ট গুলো তাকে দিয়ে দিতে চাই…
-কারন কি!
-সে কাহিনী আর নতুন করে না বলি। আপনি তার নাম্বার বা ঠিকানা কিছু একটা দিবেন প্লিজ…
-আমি কারো নাম্বার ঠিকানা মনে রাখি না।ওসব দিয়ে আমার কি কাজ বলেন?
-উনাকে দরকার আমার।
-তো আমি কি করবো! নাম্বার তো নেই। তবে হ্যা মাসে অন্তত একবার করে হলেও উনি আসেন…
-আর আসলেই অন্তর্বাস কেনেন?
-কি কেনেন দ্যাটস নট মাই হেডেক। দ্যাটস নট ইওর হেডেক অলসো। আপনি কি জরিপ চালাচ্ছেন এসব নিয়ে? আর একটা কথা বললে আমি কিন্তু পুলিশ ডাকবো…” এবার আর না পেরে আমার আইডি কার্ডটা বের করতেই হলো।
-আমি এএসপি সাজ্জাদ বলছিলাম। কাকে ডাকতে চাচ্ছিলেন?” ম্যানেজার সাহেব অনেকক্ষন “হা” করে তাকিয়ে রইলেন। তারপর বিরবির করে বললেন,
-স্যার আপনাকেই ডাকতে চেয়েছিলাম। এক কাপ চা খেতে । আসুন স্যার । বসুন প্লিজ।আমি সেই মহিলার ঠিকানা এখনি জোগাড় করছি।

মেয়েটির নাম লাবনী । ধানমডি ২৭ নাম্বার রোডে বাসা, সাত মসজিদ রোডের সংযোগে…

কলিং বেল টিপতে হলো কয়েকবার। একজন মধ্যবয়স্কা মহিলা বের হয়ে এলেন। মনে হয় ইনিই লাবনীর শ্বাশুড়ী, আমি সালাম দিয়ে বললাম, “আপনি কি লাবনীর শ্বাশুরী।“ মহিলা অবাক চোখে তাকে থাকলেন। তারপর দরজার সামনেই বসে পরলেন। অদ্ভুত ভাবে নিঃশ্বাস ফেললেন।তারপর নিজে মোবাইল বের করে কাকে যেন ফোন দিলেন, “বুলু দেখছিস। লাবনী নাকি লুকিয়ে বিয়ে করেছে। কিচ্ছু বলেনি মেয়েটা । আমার সবসময়ই সন্দেহ ছিলো…” হঠাৎ করে লাবনী মেয়েটা চলে আসলো। মহিলার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিলো, “আচ্ছা তোমরা কি শুরু করেছো” মহিলা কাদো কাদো গলায় বললো, “এই লোক তাহলে তোর শ্বাশুড়িকে খুজছে কেন। যদি নাই থাকে?” আমি দেখলাম লাবনী মহিলাকে নিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলো।     তখনও মহিলা চেচিয়ে কাদছে “তুই বিয়ে করেছিস, আমাকে না জানিয়ে…

লাবনী আমার সামনে এসে বলল, আপনি কেন এসেছে্ন? কি সমস্যা বলেনতো?

আমি বললাম, সমস্যা কিছু নয়। আমি আসলে আপনার প্রোডাক্ট গুলো ফেরত দিতে এসেছিলাম।আমার এগুলো লাগবেনা। আর উনাকে দেখে মনে হলো উনিই বোধ আপনার শ্বাশুড়ি”
-আরে বাবা আমার কোন শ্বাশুড়ি তাশুড়ি নেই। আমার মা আর খালার বিশ্বাস আমি লুকিয়ে চুকিয়ে প্রেম বিয়ে কিছু করে ফেলেছি। তার মাঝে আপনি এসে আবার ঘি ঢাললেন। আমার মা সিক। ভয়ানক সিক। নিউরো প্রবলেম আছে তারপর ভীষন রকমের মানসিক সমস্যা…
-উনি আপনার মা?
-জ্বি। আমার মা । আমার বিয়ে হয়নি। দোকানে আপনার দুষ্টুমি দেখে ভাবলাম আরেকটু জ্বালাই…তখন যদি জানতাম আপনি পুলিশের লোক, একটা কথাও বলতে যাইতামনা।
-আমি পুলিশ এর মাঝেই জেনে গেছেন?
-জানবোনা। ইনারসেলফের গর্ধভ ম্যানেজার। ফোন দিয়ে বলে, ম্যাডাম পুলিশ যাচ্ছে আপনার বাসায়। আপনার অন্তর্বাসের সাইজ মাপতে ।আগে থেকেই গজ ফিতা দিয়ে মাপ নিয়ে রাখেন। বলেন কেমন রাগ লাগে ?
-হাহাহা। তবে খুব ভালো লাগলো জেনে যে, আপনি অবিবাহিত…ইস…পাশের রুম থেকে ক্রমাগত চেচামেচির শব্দ আসছে। একজন নার্স বের হয়ে এসে বললো, খালাম্মা খুব লাফালাফি করছে। সব ভেঙে ফেলছে।

লাবনী পাশের রুমে চলে গেলো। আমিও পিছ পিছ দিয়ে ঢুকলাম। লাবনীর মা “হাউ মাউ” করে কাদছে। চেচিয়ে অস্থির হয়ে গেছেন।বিছানায় ছটফট করছেন। “ লাবু লুকিয়ে বিয়ে করেছে। দেখেছো তোমার মেয়ে এটা কি করলো? আমি কিচ্ছু জানলামনা। দেখে যাও। আমাকে আর একটা বাচ্চামেয়েকে রেখে পালালে তুমি…

আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো । আমি তাকে থামাবার জন্য সামনে গেলাম। আমাকে দেখেই তিনি কান্না থামিয়ে দিলেন।

-এই ছেলে তোমাকে বিয়ে করেছে আমার মেয়ে। বাহ! ছেলেটো খুব সুন্দর। আমার পছন্দ হয়েছে। এই ছেলে এদিকে আসো। দেখি তোমার হাত” আমি হাত বাড়িয়ে দিলাম। তিনি হাত ধরে কাদতে শুরু করলেন, জানো আমার মেয়েটা খুব একা । দুঃখী। বাবা হারা মেয়ে। তুমি তাকে অনেক ভালো রেখো।“

লাবনী হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে বললো, “কি ব্যাপার আপনিও কাদছেন কেন?” আমি বললাম, “গুরুজন কাদলে, কাদবোনা?” লাবনীর মা হাত ধরে বলছেন, বলো বাবা আমার মেয়েটাকে সুখে রাখবা? বলো… আমি বললাম, “কথা দিলাম মা। অবশ্যই রাখবো।“ লাবনী কটমট করে আমার দিকে তাকালো। তারপর নার্সের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ঘুম পাড়িয়ে দিন”।

লাবনী  আমাকে নিয়ে পাশের ঘরে চলে এলো।

আমি বললাম, আসলে প্রোডাক্ট গুলো কার জন্য?
-আমার খালার। সে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অনেকগুলো নিয়ে যাচ্ছে তাই। আমার শ্বাশুড়ির নয়।
-হতে পারে আমার শ্বাশুড়ির ! মানে …মানে আমার খালা শ্বাশুড়ির…”

লাবনী আর কোন প্রতিক্রিয়া দেখাবার আগেই চলে এলাম সেই বাসা থেকে।

লাবনীর বাসা থেকে এসে মন খারাপ হয়েছিলো খুব। মেয়েটি কোনভাবেই বুঝলোনা। আমি আসলেও ডুবে গেছি তার গভীর চাহনীতে। তিনদিনের মাথায় দেখলাম ইনারসেলফের দোকান থেকে ফোন এসেছে। ম্যানেজার ওপাশ থেকে বলছেন, “স্যার লাবনী মেয়েটি ফোন দিয়ে আপনার নাম্বার চেয়েছিলো। চিন্তার কোন কারন নেই আমি নাম্বার দেইনি স্যার। আমি বরং বকা দিয়ে বলেছি , আপনার অন্তর্বাসের সাইজ কয়বার নেয়া লাগে বলেনতো, স্যারের তো আরো কাজ আছে নাকি? এই শহরে কত মেয়ে অন্তর্বাস পরে তাদের…”

আমি চেচিয়ে বললাম, থামুন।

কোন ফোন না দিয়েই লাবনীর বাসায় চলে গেলাম।বাইরে ঘর থেকেই শুনলাম লাবনীর মা কান্নাকাটি করছে। আমি কোন রকম অনুমতি ছাড়াই ঘরে ঢুকে গেলাম।লাবনীর মা আমাকে দেখেই কান্না থামিয়ে দিলো। চেচিয়ে উঠলো, “এই এই জামাই এসেছে , জামাই এসেছে। এই কে আছিস? জামাইকে পানি দে।পানি গরম করে দে। তোয়ালে দে। সে গোছলটা ছেড়ে উঠুক” তারপর সে আমার হাত ধরে কাদতে শুরু করলো।মনে হচ্ছে কোন এক ছোট্ট খুকী বোকার মতো কাদছে। আমিও কেন জানি নিজেকে ধরে রাখতে পারলামনা। কেন জানি বুকের গভীর থেকে কান্না চলে এলো। সেই ঢেঊ দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো লাবনী।

তারপর কাছে এসে বললো, আপনার মা জানে আমার কথা? ভাই?
-জানেতো। বলেছি তো আপনার কথা।
-তাদের কোন আপত্তি নাইতো আমাকে নিয়ে। আমার বাবা বেচে নেই কিন্তু। আমরা কিন্তু ধনী নই।
-কি বলেন এসব! আমরা কেউই এসব নিয়ে ভাবিনা।
-এখনো আমি ছাত্রী। মেডিক্যাল ফোর্থ ইয়ারে।
-আমি জানি। আমি আপনার সব কিছুই জানি।।
-আপনার কোন আপত্তি নেইতো।
-এখনো বোঝেননি?
-তাহলে যান ডেকে আনেন। একজন কাজীকে। আজকেই বিয়ে হবে।“

লাবনীর মা তখনো আমার হাত কাদছে আর বলেই চলছে, “আমার মেয়েটা খুব লক্ষী বাবা। বাবার আদর তো পেলোনা। এই কষ্ট আমার গেলোনা…“।
আমি তার হাত থেকে হাত সাবধানে ছড়িয়ে নিলাম। বাইরে বের হলাম। আমার এখন অনেক কাজ।

বিয়ের কাজ শেষ হতেই “ইনার সেলফ” এর ম্যানেজার মুখে দুই দুইটা মিষ্টি ঢুকিয়ে বললো, “স্যার দেখেছেন “অন্তর্বাস” নিয়ে কথা বলতে বলতেই কিভাবে যেন আপনারা একে অপরের “অন্তরে বাস” করা শুরু করেছেন। স্যার আপনাদের একটা ছবি লাগিয়ে রাখবো আমাদের দোকানে। মার্কেটিং এ কাজ দিবে। আর স্যার আপনার অন্তর্বাস জরিপ কবে শেষ হবে?…“সে হৈ হুল্লোড় করে হেসে উঠলো। আমি তাতে যোগ দিতে পারলামনা। পাশের রুমে চলে এলাম।সেখানে লাবনী আর আমার শ্বাশুড়ি তখন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাদছেন।কি কারনে আমার মাও সেই কান্নাতে যোগ দিয়েছে। সে বারবার বলছে লাবনী মা কাদেনা , আমি আসিনা? এতোগুলো কান্নার স্বর আমার গলাতেও কিছু একটা আটকে রেখেছে। আমি না পারছি হাসতে , না পারছি কাদতে।

আমি তাদের দিকে নীরবে তাকিয়ে রইলাম।

সৈনিক এর ফেসবুক পেজ থেকে ঘুরে আসুন। হররোজ এর সাথেই থাকুন!

আমার অন্য লেখা পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Reviews

Popular Articles