আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আবিস্কার
আর্থার সি ক্লার্ক থেকে জুর্ল ভার্ন সেই যুগে যুগে তাদের লেখনীতে জানিয়েছেন কল্প বিজ্ঞানের কথা। তাদের লেখনীর কিছু অংশ আজ বর্তমান বিশ্বের যুগোপযোগী আবিষ্কার। আবার মানব সম্প্রদায়ের আদিম যুগে দেখা গেছে প্রফেট সমূহের কাছে জিব্রাইল বা গ্যাব্রিয়েল নয়ে এসছেন ঐশি বাণী। এর কিছুটা সত্য আবার কিছুটা অতিভ্রম বলে মনে হয়। তবে আজকের যুগে কিংবা আগামীতে যে মাধ্যমটি মানব সম্প্রদায়ের সবচাইতে কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে বলে ধরা হচ্ছে তা হলো – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
আধুনিক বিশ্বে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অবদান
সম্ভবতঃ নাসা-র গবেষকরা এমন একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আবিষ্কার করেছেন যেটি যে কোন অনুপযোগী ক্যালকুলেশন নিজে নিজেই ডিনাই করতে পারে। এছাড়াও এটি নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে। এটি তৈরির মূল উদ্দেশ্য কোয়ান্টাম ফিজিক্সের জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য হলেও আজ পর্যন্ত মানুষের লেখা যেকোন বাক্য এবং কন্ঠ থেকে ব্যক্তি সম্পর্কে অভুতপূর্ব ধারণা দিতে পারে। দেখা গেছে, এমনকি মৃত ব্যক্তির লেখা বা কন্ঠের নমূনা থেকে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে উক্ত ব্যক্তি কেমন আচরণ করতো বা করতে পারে সে সম্পর্কেও সাড়া জাগানো তথ্য দিতে পারছে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
ধর্ম ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ধরুন – আপনি আপনার প্রিয় ব্যক্তি, যিনি আর ইহজগতে নেই, তার সন্মধ্যে কোন ভবিষ্যতের কোন কথা বা এমনকি তার বর্তমান ভাবনার প্রতিফলন জানতে চাইলেন। সেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির কোন লেখা বা কন্ঠের রেকর্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে জানালে সে আপনার ব্যক্তিটির কথা তুলে ধরবে আপনার সামনে। এক্ষেত্রে একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হলো প্রতিবার একই প্রশ্নের একই ধরনের উত্তর হয়তো আপনি পেতে পারেন কিন্ত একজন ভবিষ্যতের মানুষের কিংবা মৃত ব্যক্তির চিন্তা-চেতনার সাথে যোগাযোগ সম্ভব এমনটা কি কখনো ভাবা সম্ভব ছিল? আমি, আপনি সকলেই জানি, এই পৃথিবীতে এখনও অনেক দেশ, জাতি আছ্র যারা এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করে “এসব ইহুদী নাসারাদের চক্রান্ত! “ কিন্ত আল্টিমেটলি ভাবুন একবার এর যুগান্তকারী সম্ভাবনা কি হতে পারে? এর মাধ্যমে আপনি কি কি সুবিধা পেতে পারেন? সকল আবিষ্কার কল্যাণের জন্য হোক, এই প্রতিপাদ্য।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর গন্তব্য
ওহ! সব চাইতে চমকপ্রদ নিউজ দিতেই ভুলে যাচ্ছিলাম! এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিন্ত নিজে নিজেই নিজের জন্য আলাদা একটা ল্যাংগুয়েজ সৃষ্টি করেছে! যার মাধ্যমে এরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো তা এখনও মানুষের জন্য দুর্বোধ্য! প্রিটি উইয়ার্ড! ইজ নট ইট?