চিতাবাঘ কেন সবচে দ্রুতগামী প্রাণি?

প্রকৃতিতে সম্ভবত পূর্ণ গতিতে দৌড় শুরু করা চিতাবাঘের সৌন্দর্যের চে’ বেশি সুন্দর জিনিস খুব কম ই আছে। চিন্তা করতে পারেন যে একটি চিতাবাঘ মাত্র ৩ সেকেন্ডে ০-৬০ মাইল বেগে দৌড়াতে শুরু করতে পারে? আসলেই তাই!

কিন্তু কিভাবে সেটা শুধু চিতার ই দখলে? আসুন কারণ জেনে নেয়া যাক আজকের why fact এ!

মার্জিত, সরু স্লিম দেহের এই বিড়াল কিন্তু অন্য বিড়াল গোত্রীয়দের থেকে বেশ আলাদা! দৌড়াতে হয় বলে এদের শরীর হালকা হয়, মাথাও বেশ ছোট! সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে চিতার নাসাল ক্যাভিটি ও এমনভাবে ইভলভড যেন অনেক শ্বাস নিতে পারে, প্রচুর অক্সিজেন ইনটেক হয় এবং শক্তিশালী ফুসফুস, সবকিছুই দ্রুত দৌড়ের নিয়ামক! শুধু তাই নয়, এদের পিছনের পায়ের মাসল ফাইবারগুলিও অন্য ফাইবার থেকে একদম ই আলাদা।

চিতাবাঘের স্পাইন শরীরের অনুপাতে যথেষ্ট বড় ও খুবই নমনীয়, এর জন্যে চিতাবাঘ যখন দৌড়ায় তখন এর ব্যাক অনেকটাই স্প্রিং এর কয়েল এর মতো স্কুইজড হয়ে আসে এবং পরক্ষণেই পায়ের সাহায্যে প্রেশার দিয়ে স্প্রেড আউট করে দিতে পারে শরীর। বলা হয়ে থাকে ঘোড়ার যদি এই ক্ষমতা বা স্কেলেটন স্ট্রাকচার থাকতো ঘোড়া হয়তো ৯০ মাইল বেগেই ছুটতে পারতো!

ত্বরণের সময় চিতার মাত্র এক পা মাটিতে থাকে এবং নখ দিয়ে মাটি ধরে থাকে। এদের চার পা কখনোই এক সাথে মাটিতে থাকে না এসময়। এবং পিছনের পা এতটাই সামনে আসে যে সামনের দুপায়ের ও সামনে গিয়ে পড়ে, এতে নিজের শরীরের চেয়েও অনেক দূরত্ব কাভার করে ফেলতে পারে এক লাফে। তাইতো বলেছি চিতার দৌড় হয় মুগ্ধ হয়ে দেখার মতো এক দৃশ্য।
মজার ব্যাপার হলো চিতাকে দৌড়াতে দেখলে দেখা যাবে তার ঘাড় থেকে মাথা সর্বদাই স্ট্রেইট এবং স্টেডি থাকে!

তবে এই ছোট ছোট বোমা দৌড়ের পর চিতাকে এনার্জি রিগেইন করতে অন্তত ৩০ মিনিট রেস্ট নিতেই হয়!

পর্ব-৭ দেখুনঃ: ব্যাঙ কেন চামড়া দিয়ে শ্বাস নেয়?

আমার অন্য লেখা দেখুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Reviews

Popular Articles