যদিও সমাজবিজ্ঞানী হুসামেতিন আর্সলান দাবি করেছেন যে, তুরস্কের মানুষ যে ধরণের গোঁফ রাখেন তা তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দেয়। আসলে তুর্কি গোঁফ সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থান ও তুলে ধরে। তুরস্কে এই “গোঁফের রাজনীতি” হুসামেতিন এর মতে, ১৮০০ এর দশকে অটোমান সাম্রাজ্যের আধুনিকীকরণ আন্দোলন তানজিমতের দ্বিতীয় সময়কালে সূচিত হয়েছিল।
তুর্কিয়েতে বলা হয়ে থাকে, গোঁফ বিহীন পুরুষ ব্যালকনিবিহীন বাড়ির মতো!
তুর্কিদের সম্ভাব্য গোঁফের ধরণের এই বিভাজন সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরছিঃ
উইলহেম গোঁফ
জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলহেলমের স্টাইল, এটি এমন একটি গোঁফ যার দুটি প্রান্ত উর্ধ্বের দিকে বাতাসে বিস্তৃত, এই ধরণের গোফকে কেমালিস্ট গোঁফ বলে মনে করা হয়। প্রায়শই সমাজতান্ত্রিক বিশ্বনেতা বা রাশিয়ান বিপ্লবীদের মত দেখায় বলে অনেক তুর্কি পুরুষ একে আদর্শ মানেন।
ওয়ালরাস গোঁফ
প্রসারিত প্রান্ত ছাড়া বড়, ঘন গোঁফ বামপন্থীদের লক্ষণ ছিল, বিশেষত ১৯৭০ এর দশকে।
আলকুচু গোঁফ
সাধারণত জাতীয়তাবাদী গোঁফ নামে পরিচিত! এর দুটি প্রান্ত ঘোড়ার নালের দুই পাশের মতো নিচের দিকে প্রসারিত থাকেন যেমন নিচের ছবিতে দেখছেন। এই শৈলীটি এই ধারণা থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে পুরানো তুর্কি দেশগুলির শাসকদের এই ধরণের গোঁফ ছিল; তাদেরকে তুর্কি পতাকার অর্ধচন্দ্রাকার মত আকৃতির বলা হয়।
ব্যাডেম গোঁফ
ছোট এবং সুন্দরভাবে ছাঁটা গোঁফ, রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের চিহ্ন।
এই চারপ্রকার প্রধান বাহার ছাড়াও আরো কিছু বিলুপ্তপ্রায় গোঁফের স্টাইল তুর্কিয়েতে চোখে পড়ে। নিজেকে কখনো এমন গোঁফের সামনে আসতে দেখলে লাকি ভাবতে ভুল করবেন না!
তুরস্ক, অবশ্য একমাত্র জায়গা নয় যেখানে গোঁফ রাজনৈতিক বা সামাজিক অর্থ গ্রহণ করেছে। অনেক মুসলিম দেশ ও সম্প্রদায়ে পূর্ণ দাঁড়িকে তাকওয়ার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।