কিভাবে লক্ষ্যে পৌছাবেন?

তাজুল ইসলাম

লক্ষ্য অর্জন টিপস

#TipTuesday

স্টুডেন্টরা প্রায়ই আমাদের প্রশ্ন করে যে ভাইয়া পড়া তো শুরু করলাম, কিন্তু ঠিক এগোচ্ছেনা পড়াটা। বা সামনে পরীক্ষা তাও পড়া শেষ করতে পাচ্ছিনা। 

কিছু ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে যদি আপনি নিয়ম শৃংখলার মধ্যে না থাকেন বা আপনার যদি কমিটমেন্ট না থাকে বা আপনার যদি ফোকাসে সমস্যা থাকে। আর কিছু ক্ষেত্রে এটা বাহ্যিক কোন সমস্যার জন্য হয়ে থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে এটা সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে কোন পড়া শেষ করতে পারবো কিনা সেটা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন থাকার জন্য। এছাড়াও আরো কিছু কারণ থাকে যেমন আত্মবিশ্বাস কম থাকে, আপনি যদি পড়াটাকে কঠিন কোন একটা কাজ ভেবে থাকেন প্রভৃতি। এবং এর প্রভাব চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই থাকে অর্থাৎ আপনি যদি ঠিকমত পড়া চালাতে না পারেন অন্য কাজ গুলোকেও হ্যাম্পার করবে। কিছু টিপস শেয়ার করছি, কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।

 

ধৈর্য্য ধরুন, ফল আসবেই।

সর্বপ্রথম আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনাকে ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। ধরে নিতে হবে যে আপনি যে পরীক্ষার জন্য পড়ছেন বা যে চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন, সেটির জন্য কিছু সময় লাগবেই। আপনার পরীক্ষার প্রিপারেশনে বাধা আসতেই পারে বা আপনার কোন পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সমস্যা হতে পারে এটা আপনাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হবে

 

রুটিন করে পড়ুন।

আপনার আশেপাশে হয়তো দেখবেন অনেকেই হয়তো এরকম কিছু না করে চান্স পেয়ে যাচ্ছে, যদি আপনিও চান্স পেয়ে যান তাহলে ক্ষতি নেই। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়ার পেছনে এই রুটিন মেনে চলা একটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি সাফল্য অর্জন করতে চান, তাহলে একটা রুটিন লাইফের মাঝে নিজেকে বেঁধে ফেলুন। 

 

বড় সমস্যাকে ছোট ছোট ব্লকে ভাগ করুন

সাধারণত ব্যাচের স্টুডেন্টদেরকে অরিয়েন্টেশনে এই কথাটা বলি।

আপনি যদি আইবিএ তে চান্স পাওয়া বা কোন জবে টেকাকে একটা বড় টাস্ক হিসেবে চিন্তা করেন, তাহলে সেটাকে ছোট ছোট ব্লকে ভাগ করুন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ম্যাথের কথা। ম্যাথ একটা সাবজেক্ট হিসেবে যদি আপনি চিন্তা করেন, আর ধরুন ৩০ টা টপিক কভার করতে হবে। এখন আপনি হিসাব করে দেখুন মোটামুটি ৮ মাসের মত সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে আপনি যদি কিছু সময় revision এর জন্য বাদ রাখেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত বা উৎসবের জন্য বাদ রাখেন, তাহলে আপনাকে ছয়    মাসের মধ্যে এগুলো শেষ করতে হবে অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে পাঁচটি করে টপিক আপনাকে পড়তে হবে।

 

প্রস্তুতি হতে হবে বহুমুখী

অনেক স্টুডেন্টই একটা ভুল করে যে, যেই সাব্জেক্ট পারে শুধু সেটাই পড়তে থাকে, কিন্তু যেটাতে দুর্বল, বা সমস্যা আছে সেটা পড়েনা। এটার জন্য আপনি হয়তো আপনার ফেভারিট সাব্জেক্টে অনেক হাই মার্ক তুলতে পারছেন, কিন্তু আপনার দুর্বলতা যেই সাব্জেক্টে সেখানে যদি মার্ক তুলতে না পারেন তাহলে কিন্তু লাভ নেই দিনশেষে। 

 

মাঝে মাঝে ব্রেক নিন

নিবিড় প্রস্তুতির সাথে বিরতি নেয়াটা বেমানান  লাগতে পারে কিন্তু আসলে এই বিরতির প্রয়োজন আছে।

আমার ক্ষেত্রে  আইবিএ এমবিএ প্রিপারেশনের জন্য ১ মাসের কিছু বেশি সময় ছিল।কিন্তু তারপরও আমি দুই দিনের ব্রেক নিয়েছিলাম যাতে আমি নিজেকে কিছুটা রিচার্জ করে নিতে পারি। 

 

ফোকাস ঠিক রাখুন

গ্র্যাজুয়েশনের পরে একটা কমন সমস্যা হচ্ছে আপনি কি করবেন সেটা ঠিক করা। আমাদের স্টুডেন্টদেরই দেখেছি তারা একেকবার একেকদিকে দৌড়ঝাপ করে। তাদেরকেও আসলে দোষ দেয়া যায়না এখানে পুরোপুরি। নানাবিধ প্রত্যাশার চাপে অনেকসময় অনেক কিছু করতে হয় যার জন্য স্টুডেন্টদের যে স্বপ্ন থাকে বা যেদিকে যাবার ইচ্ছা থাকে সেটা আর করা হয়ে উঠেনা। 

যদি এরপরও পড়া না হয়, সমস্যা ফেস করেন তাহলে একটু গভীরভাবে মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করুন কোন সমস্যাটার জন্য আপনি এগোতে পারছেন না। এটা কি আপনার পড়ার কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি আপনার যে স্ট্র্যাটেজি সেখানে কোন ভুল আছে নাকি আপনি অপ্রয়োজনীয় কোন কিছুর পিছনে বেশি সময় ব্যয় করছেন।

ভাল থাকুন সবসময়। 

তাজুল ইসলামঃ সিএফও, ক্যাপস্টোন
www.capstonebd.com
Capstone Education | Facebook

তাজুল ইসলামের সবগুলি লেখা দেখুন হররোজে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Reviews

Popular Articles